পৃষ্ঠা নং- ১৭৩
বিপরীত হয়ে গেলেই তা অশুদ্ধ।
আল্লাহ্ রাব্বুল-আলামীনের আনুগত্য ও এবাদতই যখন মানব-জীবনের লক্ষ্য, তখন জগতের কাজ-কারবার, রাজ্যশাসন, রাজনীতি ও পারিবারিক সম্পর্ক সবই এ লক্ষ্যের অধীন। অতএব যে মানব এ লক্ষ্যের বিরোধী, সে মানবতার প্রধান শত্রু।
বুখারী ও মুসলিমের একটি হাদীসে এ বিষয়বস্তুর এভাবে বর্ণিত হয়েছেঃ من أحب لله، وأبغض لله، وأعطى لله ومنع لله، فقد استكمل الإيمان، অর্থাৎ, “যে ব্যক্তি স্বীয় বন্ধুত্ব ও শত্রুতাকে আল্লাহ্র ইচ্ছার অধীন করে দেয়, সে স্বীয় ঈমানকে পূর্ণতা দান করে”। এতে বোঝা গেল যে, স্বীয় ভালবাসা, বন্ধুত্ব, শত্রুতা ও বিদ্বেষকে আল্লাহ্র ইচ্ছার অধীন করে দিলেই ঈমান পূর্ণতা লাভ করে। অতএব মুমিনের আন্তরিক বন্ধুত্ব এমন ব্যক্তির সাথেই হতে পারে, যে এ উদ্দেশ্য হাসিলে তাঁর সঙ্গী এবং আল্লাহ্র অনুগত। এ কারণে কাফেরদের সাথে আন্তরিক বন্ধুত্ব স্থাপনকারীদের সম্পর্কে কুরআনের উল্লেখিত আয়াতসমূহে বলা হয়েছে যে, ওরা কাফেরদেরই অন্তর্ভুক্ত।
আয়াতের শেষাংশে বলা হয়েছেঃ আল্লাহ্ স্বীয় মহান সত্তার প্রতি তোমাদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন। ক্ষণস্থায়ী স্বার্থের খাতিরে কাফেরদের আন্তরিক বন্ধুত্বে লিপ্ত হয়ে আল্লাহ্কে অসন্তুষ্ট করবে না। বন্ধুত্বের সম্পর্ক অন্তরের সাথে। অন্তরের অবস্থা আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জানে না। সুতরাং বাস্তবে কেউ কাফেরের সাথে বন্ধুত্ব রেখে মুখে তা অস্বীকার করতে পারে। এ কারণে দ্বিতীয় আয়াতে বলা হয়েছেঃ “তোমাদের অন্তরের গোপন ভেদ সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআলা ওয়াকিফহাল। অস্বীকৃতি ও অপকৌশল তাঁর সামনে অচল”।